গল্প- সুখের আশায়

সুখের আশায়
-পায়েল সাহু

 

ভীষণ দ্বিচারিতায় ভুগছে নয়না, এতটা দ্বন্দ্ব তো সন্দীপের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর সময়েও হয় নি। সব কিছু আছে তার, তবু মনে সুখ নেই, সব কিছুর ঊর্ধে শরীরের সুখটাই তার কাছে বড়ো। মাঝে মাঝেই কেঁদে ফেলে এই না পাওয়াটুকুর জন্য আর ভাবে কই আর পাঁচজন তো তার মতো এই অ-সুখে নেই |
হোয়াটস্যাপে মেসেজ করার পর দীর্ঘক্ষণ কেটে গেছে, সন্দীপ মেসেজ দেখেনি। খানিক বিরক্ত হয়েই ফোন করে সন্দীপকে। প্রথম বার রিং হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় বারে ফোনটা তোলে সন্দীপ। “ভীষণ কাজের চাপ, পরে কথা বলছি ” বলেই নয়নাকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ফোনটা কেটে দেয় সন্দীপ। তারপরেও নয়না আরো কয়েকবার ফোন করে কথা বলার জন্য, কিন্তু প্রতিবারই অপরদিকের নারীকণ্ঠ বলে ওঠে নাম্বারটি ব্যস্ত আছে। ঝরঝর করে কেঁদে ফেলে নয়না।

নয়না, বছর ছত্রিশের গৃহবধূ। ছেলে মেয়ে ও সরকারি চাকুরে স্বামী নিয়ে তার ভরা সংসার। বাবার একমাত্র মেয়ে হওয়ায় একটু বেশি আদুরী, একটু জেদী তবে স্বামী তার মাটির মানুষ, কখনোই নয়নার কথার বাইরে কোনো কাজ করেন না।
নয়না খুব হাসি খুশি মিশুকে একটি মেয়ে, বন্ধু বান্ধবীদের আড্ডায় সবসময় সেই হয়ে ওঠে মধ্যমণি। আত্মীয় স্বজনের সঙ্গেও তার মিষ্টি ব্যবহারে সকলেই তাঁকে বেশ ভালোবাসেন।
নয়নার সমস্যাটা একান্তই গোপন। বিয়ের পর হানিমুনে গিয়ে নয়না বুঝতে পারে তার বর শারীরিক ভাবে বেশ দুর্বল, নিজের স্ত্রীকে পূর্ণ তৃপ্তি দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই। সেই থেকে শুরু নয়নার টানাপোড়েনের জীবন। নয়না বরকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে একরকম জোর করেই ডাক্তারের কাছে পাঠায়, আর নিজেকে বোঝায় সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ডাক্তারের কাছে গেলেও নয়নার স্বামী রজত কোনোদিনই কোনোরকম ওষুধ খেতো না,উল্টে অজুহাত দিতো ওই ওষুধ তার শরীরের ক্ষতি করে দেবে।| নয়নার হাজার অনুরোধ উপরোধের ফল হয় উল্টো, রজত ক্রমশ নিজেকে দূরে সরিয়ে নিতে থাকে, এমনকি ছুটির দিনেও অফিস যাওয়া শুরু করে।
ভীষণ ভাবে ভেঙে পড়ে নয়না। টিভি,গল্পের বইও যেন একাকিত্ব কাটাতে পারে না। বছর খানেক পর গানের চর্চাটা আবার শুরু করতে নতুন করে ভর্তি হয় গানের ক্লাসে। এখানেই আলাপ হয় সন্দীপের সঙ্গে। অফিসের পর অবসর কাটাতে গিটার বাজিয়ে গান করা সন্দীপের প্ৰিয় কাজ।
সন্দীপ নয়নার চেয়ে প্রায় আট বছরের ছোটো হলেও দুজনের মধ্যে সুন্দর একটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বন্ধুত্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে দুজনে সারাদিনের যাবতীয় কথা একে অপরকে না বললে যেন শান্তি পায় না। দুজনের বন্ধুত্ব কখন যে প্রেমের সম্পর্কে পৌঁছে গেছে ওরা নিজেরাও বুঝতে পারে না, হয়তো নয়নার চোখের জল আর অসহায়ত্ব অবিবাহিত সন্দীপকে বাধ্য করে নয়নাকে কাছে টানতে।

রজতের মা বাবা গ্রাম থেকে এসেছেন ছেলে বৌয়ের কাছে কিছুদিনের জন্য বেড়াতে।
“বিয়ের তো পাঁচ বছর পার হয়ে গেলো বৌমা, আমরা কি আর নাতি নাতনির মুখ দেখতে পাবো না? আর কতদিন আছি তার কি ঠিক আছে!” রাতের খাবার টেবিলে বসে সবার সামনেই রজতের মা বলে ওঠেন নয়নার দিকে তাকিয়ে। নয়না কথাটা শুনে রজতের দিকে তাকাতেই চোখ নামিয়ে নেয় রজত। “আসলে রজতের কাজের খুব চাপ মা, বাড়িতে একদমই সময় দিতে পারে না আর আমি একা কি করে বাচ্চা সামলাবো বলো? তাই ভাবা হয়নি ওই বিষয়ে” নয়নার উত্তরে রজতের মা ছেলের দিকে তাকিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠেন “কি ব্যাপার বাবু?এসব কি শুনছি? আমি কিচ্ছু শুনতে চাই না, ছয় মাস সময় দিচ্ছি, এর মধ্যেই সুখবর শুনতে চাই আমি।”
নয়নাকে অবাক করে দিয়ে পরের সপ্তাহেই রজত কলকাতা শহরের একজন নামী গাইনোকোলজিস্টের এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে ফেলে। কিন্তু ততদিনে রজতের প্রতি নয়নার মনে ভীষণ একটা ঘৃণা জন্ম নিয়েছে। গত চার বছর ধরে সন্দীপের সঙ্গে শারীরিক মিলনে সে তৃপ্ত আর সেই তৃপ্তি দূর করেছে তার মনের যাবতীয় হতাশা।

দেখতে দেখতে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দিন চলে আসে। নয়না অনেক ভেবেও কোনো উপায় বের করতে এই এপয়েন্টমেন্টটা ভেস্তে দিতে পারে নি।
ডাক্তার বাবুর কাছে রজত নিজে থেকে তাঁর শারীরিক যাবতীয় সমস্যার কথা বলে। ডাক্তার বাবু বেশ কিছু ওষুধ আর ইনজেকশন লিখে দেন রজতকে, একমাস পর রিপোর্ট দিতে বলেন।
নয়না পড়ে মহা বিপদে, এই মুহূর্তে তার যা মানসিক পরিস্থিতি তাতে সন্দীপ ছাড়া আর কারোর সঙ্গেই শারীরিক মিলন সম্ভব নয় তার পক্ষে, হ্যাঁ সে নিজের স্বামী হলেও নয়। সন্দীপের সঙ্গে প্ল্যান করে সে রজতের ওষুধের শিশি থেকে ওষুধ ফেলে দিয়ে একই রকম দেখতে ভিটামিন ক্যাপসুল ঢুকিয়ে রাখে, আবার কোনোটায় এন্টাসিড ট্যাবলেট। কিন্তু বদলাতে পারে না ইনজেকশনগুলো, ওগুলো রজত নিজেই সময়মতো ডাক্তারের কম্পাউন্ডারের কাছ থেকে নিয়ে আসে।
ইনজেকশন এর দৌলতেই হোক বা মানসিক দৃঢ়তার কারণেই হোক রজত নয়নার সঙ্গে শারীরিক মিলনে সক্ষম হয় খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও |
নয়নার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে, এতগুলো বছর ধরে সে যা চেয়েছে আজ সত্যি হতে দেখেও সে খুশি হতে পারে না কিছুতেই, আসলে মানসিক ভাবে ভীষণ একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে ততদিনে, শুধু সমাজ, নিজের মা বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে ডিভোর্স না নিয়ে দমবন্ধ করে সংসার করতে সে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এখন রজতের এই সঙ্গ তাও শুধু সন্তান উৎপাদনের জন্য, সহ্য হচ্ছে না কিছুতেই নয়নার।
সন্দীপকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে নয়না।
হঠাৎই সন্দীপের কাছে অদ্ভুত এক দাবী করে বসে নয়না, যদি তার গর্ভে সন্তান আনতেই হয় তবে তা যেন সন্দীপের হয়, রজতের সন্তান সে চায় না।
অদ্ভুত এক ভালোলাগায় ভেসে যায় সন্দীপ।

দু মাস পরের কথা, নয়নার প্রেগন্যান্সি টেস্ট আজ পসিটিভ এসেছে। এতো শীঘ্র সুখবর আসাতে রজত একাধারে খুশি হলেও একটু অবাকও হয়েছে তার এই সাফল্যে। নিজের সুস্থতায় তার সম্পূর্ণ বিশ্বাস না হলেও সন্তান আসার খবরে সে মনের সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে দেয়। বরং স্বস্তি পায় এই ভেবে যে ভবিষ্যতে নয়নার সঙ্গে শারীরিক মিলন না করলেও চলবে তার, সন্তান লাভের জন্যই তো তার এতো প্রচেষ্টা, সেটা ভীষণ ভাবে সফল তাই এসব নিয়ে আর না ভাবলেও চলবে |
অন্যদিকে সন্দীপও আনন্দের সাগরে ভেসে যায়।তবে শারীরিক কিছু জটিলতা এবং গর্ভস্থ যমজ বাচ্ছার জন্য ডাক্তারের পরামর্শমতো নয়নার বাড়ি থেকে বেরোনো সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সন্দীপের সঙ্গে যোগাযোগ এখন কেবল মাত্র ফোনেই। কিন্তু নয়নার শারীরিক কারণে আস্তে আস্তে সেটাও কমতে থাকে ধীরে ধীরে।

সন্দীপ, অসম্ভব সুপুরুষ একটি ছেলে। চাকরি মোটামুটি করলেও তার রূপের জোরে এবং দারুণ গিটার বাজানোর জন্য প্রচুর মেয়ে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। বলাই বাহুল্য সন্দীপ দারুণ এনজয় করে পুরো ব্যাপারটা।
প্রায় প্রতিদিনই তার শয্যা সঙ্গিনী বদলানো অভ্যাসে পরিণত হয়। সন্দীপ যে এই সব মেয়েদের ভালোবাসে তা নয়, শুধু সুযোগের সদব্যবহার করে। অবশ্য মেয়েরাও প্রেমের জোয়ারে ভেসে সন্দীপের কাছে নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়।
এহেন চরিত্রের ছেলে হয়েও নয়নার সঙ্গে কিভাবে এতো গভীর ভাবে জড়িয়ে পড়ে, সন্দীপ নিজেও ভেবে পায় না। নয়নার সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার পর আর কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাতেও তার ইচ্ছে করেনা আজকাল। নয়নাকে সে কোনোদিন বিয়ে করে সংসার করতে পারবে না জেনেও পাগলের মতো ভালোবাসে সন্দীপ। নয়নার মুখের একটু হাসির জন্য সে তার জীবন অব্দি বাজি রাখতে পারে। নিজেকে অনেকবার প্রশ্ন করেছে এতো প্রেমের কারণ কি? কি লাভ এই ভালোবাসায়? কোনো উত্তর পায়নি, শুধু বুঝেছে এই সম্পর্কটা ওকে সুখে রেখেছে। অনেকবার সরে আসতে চেয়েছে মনে মনে, কিন্তু নয়না সামনে এসে দাঁড়ালেই তার সব ভাবনা, সব হিসেব গুলিয়ে যায়।
নয়না যেদিন বললো ও তার বিবাহিত স্বামী রজতের নয়, সন্দীপের সন্তানের মা হতে চায়, জীবনটা ধন্য হয়ে গেছিলো। আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলো নয়নার চাহিদা পূরণ করতে।
যেদিন নয়না প্রেগন্যান্সির রিপোর্টটা জানালো মনে হয়েছিলো স্বর্গ সুখ বুঝি একেই বলে। এখন নয়নার সঙ্গে দেখা তো দূর, কথা অব্দি হয় না, প্রথম দুমাস নিয়মিত কথা হতো, কিন্তু তারপর থেকে নয়নার শরীরে নানারকম জটিলতা দেখা দেয়, ডাক্তারও ফোন থেকে দূরে থাকতে বলেন। আজ ছয় মাস ওদের কথা হয় নি।| কোনো অছিলায় যে নয়নার বাড়ি যাবে সে উপায়ও নেই, কারণ ওখানে কেউই ওকে চেনে না, কোনোদিন যায়ওনি। সন্দীপ ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে ওঠে নয়নার জন্য। তার গিটারের সব সুর যেন শেষ হয়ে গেছে। দিনগুলো যেন দীর্ঘশ্বাসে কাটছে তার। একসময়কার প্লে বয় আজ চোখের জল ফেলছে প্রেমিকার চিন্তায়।

নার্সিংহোমে যাওয়ার আগে নয়না ফোন করে সন্দীপকে। যদি ফিরে না আসে, যদি আর কথা না হয় সেই আশঙ্কায়। ফোনে কথার বদলে দুজনে দুজনের কান্নার শব্দ শোনে কিছুক্ষণ।
পরদিন সকালে সন্দীপের হোয়াটস অ্যাপে ছবি আসে তার দুই ফুটফুটে সন্তানের, একটি ছেলে ও অপরটি মেয়ে। আনন্দে উদ্বেল সন্দীপ ভীষণ খুশি হয়েও হাউহাউ করে কেঁদে ফেলে কোনোদিন তার সন্তানদের অধিকার না পাওয়ার হতাশায়। হঠাৎ তার মনে হতে থাকে মস্ত বড়ো ভুল সে করে ফেলেছে। সে কোনোদিন কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবে না তার সন্তানদের, তার সামনেই তার সন্তানরা অন্য একজনকে বাবা বলে ডাকবে। সারাজীবন এগুলো সে সহ্য করবে কি করে? নয়না কোনোদিন তাকে বিয়ে করবে না, তাহলে? এতো বড়ো ভুল সে কি করে করে ফেললো শুধু নয়নার মন রাখতে গিয়ে। কেন একবারও ভেবে দেখলো না তার নিজের ভবিষ্যত?
প্রশ্নগুলো সারাদিন রাত সন্দীপের মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে। নয়না আবার আগের মতো ফোন করছে, মেসেজ করছে, কিন্তু সন্দীপ যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে।
বাচ্ছাদের বয়স এখন তিন মাস, নয়নাও সুস্থ হতেই সন্দীপের সঙ্গে দেখা করার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছে। বাচ্ছাদের দেখে যেতে বলছে বাড়ি এসে।
কিন্তু সন্দীপ রোজই কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে নয়নাকে। আসলে বাচ্ছাদের দেখলে সে নিজেকে কিছুতেই কন্ট্রোল করতে পারবে না। হয়তো কেঁদে ফেলবে সবার সামনেই।
অনেক ভেবে সন্দীপ স্থির করে সম্পর্কটা এবার শেষ করতেই হবে, নাহলে সে কিছুতেই ভালো থাকতে পারবে না। কলকাতার বাইরে চাকরি নিয়ে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা পাকা করে ফেলে সে খুব দ্রুত।

বেশ সুন্দর একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে নয়নার সঙ্গে তার বাচ্ছাদের ডাক্তারের। চেম্বার ছাড়াও প্রায়ই ফোনে কথা চলে দুজনের। নয়না বোঝে ডাক্তার বাবু ওর প্রেমে পড়েছেন। নয়নার যে খুব খারাপ লাগে তা নয় কিন্তু সন্দীপ? ও কি ভাববে? ও যদি জানে নয়না নতুন একজনের সঙ্গে প্রেম করছে কি বা ভাববে সে… কিন্তু সন্দীপ যেন কেমন বদলে গেছে। বার বার ফোন বা মেসেজ পেয়েও সন্দীপ কোনো উত্তর দেয় না, কথা বললেও কেমন যেন বিরক্ত হয়ে উত্তর দেয়। নয়নার ভীষণ মন খারাপ হয় আর তাই সে ডাক্তারবাবুকে ফোন করে মন হালকা করে।
নয়না একসময় ভাবতো সন্দীপই তার জীবনের একমাত্র প্রেম কিন্তু এখন সে দিব্বি উপলব্ধি করছে প্রেম জীবনে বারবার আসে, আর যেচে আসা প্রেমকে গ্রহণ করতে হয়। আজ নয়নার বাচ্ছাদের ডাক্তার ওকে ‘অফার’ করেছেন ‘লং ড্রাইভ’- এ যাওয়ার জন্য। দোনামোনা করতে করতে নয়না শেষ ফোনটা আজ করেছিলো সন্দীপকে, কিন্তু সন্দীপ আজও ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেওয়ায় নয়না সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলে নতুন সম্পর্কে জড়ানোর।

জীবন এভাবেই এগিয়ে চলে।

অবিবাহিত সন্দীপ কোনো এক দূর দেশে বসে আজও তার সন্তানদের কথা মনে করে চোখের জল ফেলে, আর নয়না তার বিবাহিত জীবনের সুন্দর সংসারের আড়ালে একের পর এক নতুন সম্পর্কে জড়াতে থাকে কেবলমাত্র শারীরিক সুখের আশায়।

Loading

4 thoughts on “গল্প- সুখের আশায়

Leave A Comment